ইতিহাস গড়লেন ভারতের সর্বেশ কুশারে। ছেলেদের হাই জাম্পে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ফাইনালে উঠলেন। চমক ছেলেদের ১০০ মিটারে। অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী নোয়া লাইলস শেষ করেছেন তৃতীয় স্থানে। মেয়েদের বিভাগেও একই ঘটনা।

ইতিহাস গড়লেন ভারতের সর্বেশ কুশারে। ছেলেদের হাই জাম্পে প্রথম বার কোনও ভারতীয় ফাইনালে উঠলেন। তবে চমক দেখা গিয়েছে ছেলেদের ১০০ মিটারে। অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী নোয়া লাইলস শেষ করেছেন তৃতীয় স্থানে। সোনা জিতেছেন জামাইকার অবলিক সেভিলে। মেয়েদের বিভাগেও একই জিনিস। অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জুলিয়েন আলফ্রেড তৃতীয় হয়েছেন।
প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের সর্বেশ। ফাইনালে উঠতে পারেননি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সেই আক্ষেপ পুষিয়ে নিলেন। এ দিন দ্বিতীয় প্রয়াসে ২.২৫ মিটার লাফিয়ে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেন।
নাসিকের দেওগাঁওয়ের ছেলে সর্বেশ। বাবা পেঁয়াজ চাষি। স্কুলশিক্ষক রাওসাহেব যাদবের হাত ধরে উঠে আসা সর্বেশের। প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য তাঁর কাছে কোনও অর্থ ছিল না। কোনও মতে জোড়াতাপ্পি দেওয়া ল্যান্ডিং ম্যাটে অনুশীলন করতেন। সেটি তৈরি করা হয়েছিল পুরনো জামাকাপড় এবং তুলো দিয়ে। ২০১৬-য় ভারতের সেনাবাহিনিতে যোগ দেওয়ার পর জীবন বদলে যায়। উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। বেতন দিয়ে প্রথম বার দৌড়ের জুতো কিনেছিলেন। ২০১৯-এ দক্ষিণ এশীয় গেমে সোনা জিতেছিলেন সর্বেশ। কিছু দিন আগে ইন্ডিয়া ওপেনে হারিয়েছিলেন তেজস্বীন শঙ্করকে।
সর্বেশ বলেছেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা অসাধারণ অনুভূতি। আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। দেশের সকলের উচিত আমাদের উপর বিশ্বাস রাখা। খেলোয়াড়দেরও নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখা উচিত। এখনও ফাইনাল বাকি। সেখানেও নিজের সেরাটাই দেব।”
এ দিকে, পুরুষদের ১০০ মিটার ফাইনালে টান টান লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত ৯.৭৭ সেকেন্ড সময় করে সোনা জেতেন সেভিলে। রুপো পেয়েছেন জামাইকারই কিশানে থম্পসন (৯.৮২)। তৃতীয় লাইলসের সময় ৯.৮৯। ফলস্ স্টার্টের কারণে আগেই বাতিল হয়ে যান বৎসওয়ানার লেটসিলে টেবোগো।