গোটা দেশে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এসআইআর-এর নির্দেশ দেওয়া আমাদের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপের শামিল: সুপ্রিম কোর্টকে কমিশন

গত বুধবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অপর নির্বাচন কমিশনারেরা এবং নির্বাচন কমিশনের অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন বুধবারের বৈঠকে।

সুপ্রিম কোর্ট গোটা দেশে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন (এসআইআর)-এর নির্দেশ দিলে, তা নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপের শামিল হবে। শীর্ষ আদালতে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে কমিশন। সেখানে তাদের দাবি, পরিমার্জনের নীতির ক্ষেত্রে অন্য যে কোনও কর্তৃপক্ষকে বাদ দিয়েই বিষয়টি তারা বিবেচনা করতে পারে।এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র বিহারেই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। তবে বিহারের পরে অন্য রাজ্যগুলিতেও এসআইআর-এর কাজ শুরু করে দিতে চায় তারা। হলফনামায় কমিশন জানিয়েছে, ভোটার তালিকা তৈরি এবং সংশোধনের কাজের তত্ত্বাবধানের জন্য সাংবিধানিক এবং আইনি ক্ষমতা রয়েছে তাদের হাতে। তাদের বক্তব্য, “গোটা দেশে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এসআইআর করার বিষয়ে যে কোনও নির্দেশ দেওয়ার অর্থ নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করা।”

বিহারে নির্বাচন কমিশনের এআইআর নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা চলছে। এ অবস্থায় গোটা দেশে নির্দিষ্ট সময় অন্তর, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে এসআইআর করানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী। এ বিষয়ে কমিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান তিনি। ওই আর্জির প্রেক্ষিতেই হলফনামা দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানায় কমিশন।

গত বুধবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অপর নির্বাচন কমিশনারেরা এবং নির্বাচন কমিশনের অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন বুধবারের বৈঠকে। ওই বৈঠকের পরেই কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী মাস অর্থাৎ, অক্টোবর থেকেই দেশ জুড়ে এসআইআর শুরু করে দিতে পারে কমিশন। এর আগে ২০০৩ সালে বিহারে শেষ এসআইআর হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে শেষ এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *